বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও জালিয়াতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি ঋণগ্রহীতার তথ্য মাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিআইবিতে (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) জমা দিতে হবে। যদি কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করতে না পারে, তবে তাদের তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। যদি সেই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে জরিমানা আরোপ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর ওপর জরিমানার অর্থ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে কর্তন করা হবে, আলাদাভাবে জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং জালিয়াতি প্রতিরোধ করা। অতীতে ঋণখেলাপিরাও নতুন ঋণ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, যার ফলে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন থেকে নিশ্চিত করতে চায় যে, ঋণগ্রহীতাদের সঠিক তথ্য সংরক্ষণ করা হবে এবং কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে নতুন ঋণের অনুমোদন পাবে না। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে ব্যাংকগুলোর ঋণ শৃঙ্খলা আরও সুসংহত হবে এবং আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a comment