আসন্ন ঈদুল ফিতরে উত্তরবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রা হবে আগের চেয়ে অনেক স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন। যানজটমুক্ত মহাসড়ক নিশ্চিতে প্রশাসন একাধিক কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ১১টি উড়াল সেতুর মধ্যে ৯টি এবং হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়া। পাশাপাশি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চার লেন চালু হওয়ায় যানবাহনের চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোতে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে এবার সেই সমস্যা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি থাকবে। একই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫-১৬ হাজার যানবাহন চলাচল করে, যা ঈদ মৌসুমে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এবার মহাসড়কে যেকোনো ধরনের যানজট বা দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশও দায়িত্ব পালন করবে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে উদ্ধারকারী রেকার ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল জানিয়েছেন, যানজট এড়াতে সেতুর উভয় পাশে ১৮টি টোল বুথ চালু থাকবে, যার মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য থাকবে চারটি বুথ। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল জানিয়েছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে, তবে ঈদের আগে তা শেষ করে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা হবে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, এবারের ঈদযাত্রায় যানজট এড়াতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। মহাসড়কের কোথাও অপ্রয়োজনীয়ভাবে যানবাহন দাঁড়াতে দেওয়া হবে না, পাশাপাশি যানবাহন বিকল হলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে, এবার ঈদযাত্রা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে আরামদায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Leave a comment