রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, মেট্রোরেলের নারী বগির পাশের একটি বগি এ ঘটনায় আহতদের পরিবহনের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে আছড়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আহতদের মধ্যে ২৮ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ একযোগে কাজ করছে। দুর্ঘটনার পর উত্তরার বিভিন্ন রাস্তা ও হাসপাতাল এলাকায় যানজট তৈরি হয়, যা দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পৌঁছাতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি বগি সংরক্ষিত রাখে যেন প্রয়োজনে দ্রুত ও নিরাপদে রোগীদের সরানো যায়।
সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় নিহতদের সম্মানে আগামীকাল এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। রাজধানীর আকাশে ভেসে থাকা ধোঁয়া, স্কুলের পোড়া ছাদ আর অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ যেন প্রমাণ করে দিয়েছে—এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, এটি এক জাতিগত শোকের ক্ষণ।
Leave a comment