ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২,৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল্য। রিজার্ভের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনেই দেশে এসেছে প্রায় ৩ বিলিয়ন (৩০০ কোটি) ডলারের রেমিট্যান্স, যা এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন মাইলফলক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মুনশি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২,৫৪৪ কোটি ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে প্রকৃত রিজার্ভ কিছুটা কম, যা ২,০২৯ কোটি ডলার।
রিজার্ভের এই ঊর্ধ্বগতি কয়েক সপ্তাহ আগেও অপ্রত্যাশিত ছিল। ৯ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ১,৯৭৫ কোটি ডলারে, যা ২০ বিলিয়নের নিচে চলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছিল। তবে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। বিশেষ করে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় রিজার্ভ আবারও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভে এই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। রপ্তানি খাত থেকেও ভালো আয় আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি পরিচালনায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাতের ধারাবাহিক অগ্রগতি বজায় থাকলে ভবিষ্যতে রিজার্ভ আরও স্থিতিশীল হবে।
Leave a comment