ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েল ‘বড় ভুল ও অপরাধ’ করেছে বলে মন্তব্য করে বলেছেন, সেই অপরাধের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। আর সেই শাস্তিই দেওয়া হচ্ছে এবং তারা তা ভোগ করছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে মার্কিন হামলার পর এক এক্স বার্তায় প্রথমবারের মতো এই কঠোর হুমকি দিলেন খামেনি। এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে খামেনি বলেন, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় অপরাধ করেছে। সেই শাস্তিই তারা ভোগ করছে । এই শাস্তি চলবে।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান। এরপর থেকেই তেহরান দেশের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করে।
ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার আশঙ্কায় ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বাংকারে। তিনি তার বাসভবন ছেড়ে গোপন স্থানে অবস্থান করছেন। সরাসরি যোগাযোগও বন্ধ রেখেছেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামেনির আশঙ্কা—ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমন পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। খবরে জানা গেছে, যদি খামেনির কোনো কিছু হয়, তাহলে যেন দ্রুত নতুন সর্বোচ্চ নেতা ঠিক করা যায়— সেই নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, ইরানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সর্বোচ্চ ক্ষমতারয়েছে খামেনির হাতে। তার আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ ও সেনাবাহিনীর ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
Leave a comment