ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী (ওয়াইএএফ) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দর এবং আল-নাকাব মরুভূমির সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলাটিকে গাজায় চলমান সংঘাত এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক হস্তক্ষেপের জবাব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওয়াইএএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারি জানান, চারটি আত্মঘাতী ড্রোন ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর মধ্যে তিনটি ড্রোন রামন বিমানবন্দর এবং একটি আল-নাকাবের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। ওয়াইএএফের দাবি, তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
জেনারেল সারি বলেন, “গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা ও ইয়েমেনে ইসরায়েলের সামরিক হস্তক্ষেপের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আমরা ফিলিস্তিনের পাশে আছি। ইসরায়েলের আগ্রাসন আমাদের সংকল্প ভাঙতে পারবে না।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুথি-নিয়ন্ত্রিত বাহিনী ইয়েমেন থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা দেখাচ্ছে। গত এক বছরে তারা একাধিক হামলার দাবি করেছে, যা ইসরায়েলসহ অঞ্চলে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের হামলা ইসরায়েলের সংরক্ষিত সামরিক কাঠামোয় ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারে। এছাড়া, হামলা ও উত্তেজনার ধারা অব্যাহত থাকলে গাজা ও ইয়েমেনসহ পুরো অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট আরও জটিল হতে পারে।
Leave a comment