ইসরায়েলের বহু গোপন ও সংবেদনশীল নথি ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সংগ্রহ করেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে । এর মধ্যে ইসরায়েলের পরমাণু পরিকল্পনা ও স্থাপনা সম্পর্কিত কিছু নথি রয়েছে।
শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছর ইসরায়েলের একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র হ্যাক করার যে ঘটনা ঘটেছিল, এই নথি সংগ্রহের ঘটনার সঙ্গে তারই সম্পর্ক থাকতে পারে, যেটা ইরান বর্তমানে প্রকাশ করছে, যখন তাদের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা চরমে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি জানিয়েছে, কিছুদিন আগে এই অভিযান সংঘটিত হয়েছিল। সেগুলোর সংখ্যা অনেক বেশি এবং নিরাপদে ইরানে আনা ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। সে কারণে গোপন রাখা হয়েছিল পুরো বিষয়টি।
নাম প্রকাশ না করা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, নথিগুলোর পরিমাণ এত বেশি যে সেগুলো বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্ট ছবি-ভিডিও দেখতেই দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। যদিও কোনো নির্দিষ্ট নথির তথ্য তারা প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিপুল নথিপত্র ইসরায়েলি গোয়েন্দারা হস্তগত করেছে, যা ইঙ্গিত দেয়, ইরান অতীতে যতটা জানিয়েছে, তার চেয়েও বেশি পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে ইরানকে বলেছিলেন, তেহরান যদি ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে না আসে, তবে ইরানকে বোমা হামলার মুখোমুখি হতে হবে। তবে এপ্রিলে ট্রাম্প ইসরায়েলের একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনার পথ বেছে নিতে বলেন।
অন্যদিকে, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি( ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা আমাদের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এই দাবি যতই করুক না কেন, তারা তা মানবে না বলে জানিয়ে দেন।
সূত্র: রয়টার্স
Leave a comment