যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল। তবে তিনি অভিযোগ করেন, যুদ্ধ এড়াতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথাযথ পদক্ষেপ নেননি।
ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি আশা করছেন শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজসম্পদ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তবে এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এর আগে, যুদ্ধকালীন সাহায্যের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
গত বুধবার ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে আখ্যায়িত করে দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে পরামর্শ দেন। এতে ইউরোপীয় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ তাঁরা মনে করছেন, পুতিনের অনুকূলে একটি শান্তিচুক্তি করতে কিয়েভকে বাধ্য করা হতে পারে।
শুক্রবার সকালে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমার খুব ভালো আলোচনা হয়েছে, তবে ইউক্রেনের সঙ্গে এত ভালো আলোচনা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের হাতে রাশিয়াকে আটকানোর মতো শক্তিশালী কৌশল নেই, কিন্তু তারা কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে।
এদিকে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার কূটনৈতিক বৈঠক আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার উভয় দেশের প্রতিনিধিরা প্রথমবারের মতো সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে, যেখানে দ্রুত শত্রুতা বন্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে, এই আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়ার অবস্থান শক্তিশালী হতে পারে।
Leave a comment