র্যাব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে । ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকামুখী পশুবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজি রুখতে র্যাবের এই গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীতে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (৩ জুন) এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
উইং কমান্ডার ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, সারাদেশে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং ১৫টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে নজরদারি চলমান রয়েছে। যদি কোনো ধরনের অপতৎপরতা নজরে আসে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে দেশের সকল শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, টার্মিনাল, গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং ঘরমুখো মানুষের চলাচলের পথসমূহে । র্যাবের কন্ট্রোলরুম, মোবাইল পেট্রোল, ক্যাম্প, অবজারভেশন পোস্ট, চেকপোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আরও বলেন, কোরবানির পশুর হাটে দালাল, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টিসহ যেকোনো অপরাধ রোধ করতে টহল বাড়ানো হয়েছে। চামড়া ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তৎপর রয়েছে সিন্ডিকেট। তাদের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। জাল টাকা শনাক্তে র্যাবের কন্ট্রোলরুমে মেশিনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে। এখন পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ নানা মাধ্যমে কোনো সুনির্দিষ্ট নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।
নারীরা ঈদের সময় অনুষ্ঠানস্থল বা গণপরিবহনে যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য মোবাইল কোর্ট ও র্যাব সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে। কেউ হয়রানির শিকার হলে র্যাবকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে অনুরোধ করেন এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
Leave a comment