আজ ৩০ মে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এদিনটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহ সারাদেশে পালন করছে নানা কর্মসূচি। সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও দান-খয়রাতসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ উপলক্ষে সারাদেশে দলের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও একই দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ রাষ্ট্রপতির কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজও আলোচনা সভা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুস্থদের মধ্যে চাল, ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনকারী, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর আদর্শ, দর্শন ও রাষ্ট্রচিন্তা আজও আমাদের প্রেরণা যোগায়।” তিনি আরও বলেন, “শহীদ জিয়ার জীবন ও সংগ্রাম এ জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক অবিনাশী পথনির্দেশক।”
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আজ জিয়াউর রহমানের স্মরণে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। পোস্টার, প্রচারপত্র ও ব্যানারের মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার অবদান স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে অবস্থানরত দলীয় কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় আয়োজন ছাড়াও জেলা, উপজেলা, পৌর ও থানা ইউনিটগুলোর নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব আয়োজনে উপস্থিত নেতারা শহীদ জিয়ার অবদান ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। মৃত্যুর পর থেকে বিএনপি দিনটিকে ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a comment