সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ শতবর্ষে পর্দাপণ করলেন। আজ তার ১০০তম জন্মদিন।
দশকের পর দশক ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে জীবনের এক শতাব্দীতে পৌঁছেছেন। মাহাথির ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ । কেদাহর আলোর সেটারে ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮১-২০০৩ সাল পর্যন্ত বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) সরকারের নেতৃত্ব দেন এবং বিএনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মে ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত পাকাতান হারাপান (পিএইচ) প্রশাসনের অধীনে আবারও শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, কেএল টাওয়ার, কেএলআইএ ও পুত্রাজায়ার মতো আইকনিক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য ‘আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক’ হিসেবে পরিচিত তিনি।
মালয়েশিয়ার প্রথম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটন হোল্ডিংস বিএইচডি-এর উদ্বোধনের তত্ত্বাবধান করেন মাহাথির এবং লুক ইস্ট নীতি চালু করেন, যার মাধ্যমে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে, মাহাথির মালয়েশিয়ার অর্থনীতির উত্থানকে ‘এশিয়ান টাইগার’ হিসেবে নেতৃত্ব দেন, অর্থনীতিকে চালিকাশক্তি হিসেবে শিল্পায়নের দিকে নিয়ে যান।
অর্থনৈতিক খাতের ব্যাপক বেসরকারীকরণকেও উৎসাহিত করেন তিনি, যার মধ্যে তেনাগা ন্যাশনাল বিএইচডি, টেলিকম মালয়েশিয়া বিএইচডি-এর মতো অনেক সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এশীয় আর্থিক সংকট মোকাবেলায় তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাহায্য নেওয়ার পরিবর্তে মূলধন নিয়ন্ত্রণ ও রিঙ্গিতকে (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত করার মতো সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বর্তমানে কেদাহ, কেলানটান, তেরেঙ্গানু ও পার্লিসের পিএএস-নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা মাহাথির। মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে একজন বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছেন তিনি।
মাহাথিরের স্ত্রী ডা. হাসমাহ আলী (৯৮)। মাহাথির-হাসমাহ দম্পতির সাত সন্তান রয়েছে। তারা হলেন- মেরিনা, মির্জান, মেলিন্ডা, মোখজানি, মুখরিজ, মাইজুরা ও মাজহার।
বর্তমানে মাহাথির মোহাম্মদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউটে ভর্তি রয়েছেন। ৯ জুলাই তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
শতবর্ষী মাহাথির দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। গত জানুয়ারির শেষের দিকে তাকে একবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
                                                                        
                                                                        
                            
                            
                                
			            
			            
 
			        
 
			        
 
			        
 
			        
				            
				            
				            
Leave a comment