আজ ১৫ জুলাই, বিশ্বজুড়ে উদযাপন হচ্ছে ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়ন’।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রতিবছর এই দিনে যুবসমাজকে কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা, শোভন কাজের সুযোগ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিষয়ে সচেতন করা হয়। যুবকদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই হলো লক্ষ্য ।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা একদিকে যেমন ক্যারিয়ার গঠনে সংগ্রাম করছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্রভাবের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাস্তবমুখী দক্ষতা অর্জনের ওপরও।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) সরকারি-বেসরকারি অংশীদারদের সহযোগিতায় গড়ে তুলছে একটি কার্যকর দক্ষতা উন্নয়ন ইকোসিস্টেম ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৪ সালে, ১৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরতে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে আরও বলেন, ‘জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, শিল্পক্ষেত্রে বহুমুখী শ্রমের চাহিদা পূরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকসংখ্যক শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দক্ষ জনশক্তি অপরিহার্য।
তিনি বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমাদের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার জরুরি। প্রধান উপদেষ্টা জানান, আমাদের যুবসমাজকে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে তারা পরিবর্তনশীল কর্মক্ষেত্রের উপযোগী হয়ে উঠতে পারে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা
Leave a comment