আজ ২৯ জুলাই, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস বা বিশ্ব বাঘ দিবস। দিনটির মূল প্রতিপাদ্য— ‘মানুষ-বাঘের সুরেলা সহাবস্থান’। বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ২৯ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব বাঘ দিবস।
জানা গেছে, ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এ দিবসটির সূচনা হয়। বন অধিদফতরের আয়োজনে এ বছরও এই দিবসটি পালিত হবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই দশকে আরো কঠিন হয়ে উঠেছে সুন্দরবনে বাঘের টিকে থাকার সংগ্রাম । তবে আশার কথা হলো, ২০২৪ সালের বাঘশুমারিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১২৫টি, যা ২০১৮ সালের ১১৪টি থেকে ১১টি বেশি। তারও আগে, ২০১৫ সালের শুমারিতে এই সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এবারকার জরিপে বিশেষ করে ২১টি বাঘশাবকের ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরা ট্র্যাপে, যেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের শুমারিতে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৫টি বাঘশাবকের চিত্র।
বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা, প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা, এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হলো বিশ্ব বাঘ দিবসের মূল উদ্দেশ্য । এক সময় পুরো পৃথিবীতে লাখ লাখ বাঘ থাকলেও এখন তা নেমে এসেছে কয়েক হাজারে।
আজ বিশ্ব বাঘ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর বন ভবনের হৈমন্তি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা।
Leave a comment