আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠান। আজ সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর, বেলা ২টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, দিনটির স্মরণে পত্র-পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশের অন্যান্য কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং পোস্টার প্রকাশ করা হবে, যা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর উদ্যোগে পরিচালিত হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে।
গতকাল, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন শিশুদের নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা আয়োজন করেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেন, “জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তিকাল উত্তরণে জাতির দিশারি ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে আক্রমণ করলে তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন।”
ফখরুল আরও বলেন, “জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির অবিস্মরণীয় অবদান ছিল সার্ক গঠন, যা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট হিসেবে গড়ে ওঠে। তিনি দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী করে জাতির মর্যাদা বিশ্বব্যাপী উচ্চকিত করেছেন।” তবে, তিনি বলেন, “দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা জিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে, কিন্তু তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী ঐক্য গড়ে ওঠে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির এবং গর্বিত জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র রেখে গেছেন, এবং তার দর্শন ও ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে।”
Leave a comment