অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তবে, আওয়ামী লীগের যেসব সদস্য হত্যা, গুম ও খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচার হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো।
আজ, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি খাতে গত ১৫ বছর ধরে চুরির তথ্য দিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে এবং খাদ্য স্বয়ম্ভরতার মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। দেশের পণ্য উৎপাদন কম থাকার কারণে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার খাদ্য পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। তিনি ১৯৭৪ সালের মতো বিপর্যয়ের শঙ্কা ব্যক্ত করেন।
শফিকুল আলম কৃষি খাতের নিরাপত্তা ও সঠিক তথ্য উপস্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে কীটনাশক ও বিষের অস্বাভাবিক ব্যবহার নারী স্বাস্থ্য এবং উপকূলীয় এলাকার চিংড়ি শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি জানান, কৃষির জন্য সিন্ডিকেট ভাঙার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যেমন ডিমের সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং কৃষিকে টেকসই করতে কাজ চলছে।
তিনি আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগের কেউ অনুশোচনা করছে না, বরং তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক মিথ্যা বলছেন।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হবে। তিনি জানান, যদি কম সংস্কার হয়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে, তবে আরও সংস্কার হলে তা ২০২৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি মধ্যবিত্তের উন্নতির জন্য কৃষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার গুরুত্বে আলোকপাত করেন এবং বাজার অর্থনীতির পরিবর্তন ও কৃষি খাতে অকৃত্রিম পরিসংখ্যানের প্রয়োগের বিষয়ে কথা বলেন।
এছাড়া বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনও উপস্থিত ছিলেন।
Leave a comment