অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর ‘আত্মহত্যা’ করেছে। গতকাল বুধবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডি গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম ইয়ামিন (১৬)। সে রনচন্ডি গুচ্ছগ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ইয়ামিন কয়েকদিন ধরেই তার মায়ের কাছে স্মার্টফোন কিনে দিতে বায়না ধরে আসছিল। মা সকিনা বেগম পাথর শ্রমিক হওয়ার কারণে টাকার অভাবে ছেলেকে ফোন কিনে দিতে পারছিলেন না। বুধবারও ফোন কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু হতদরিদ্র মা কিভাবে ফোন কিনে দিবেন সে চিন্তায় ছিলেন। সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় জানালা দিয়ে ইয়ামিনের মরদেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথা জানা গেছে।
ইয়ামিনের মা সকিনা বেগম জানান, ছেলে কিছুদিন ধরেই আমার কাছে টাচ ফোন (স্মার্টফোন) কিনে দিতে বায়না করছে। কিন্তু এই ফোন কিনতে তো অনেক টাকা লাগে। এতো টাকা কই পাবো। পাথরের কাজ করি। ঠিকমত খেতে পারি না। ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। পরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কা দেই, দেখি বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখি ঝুলছে।
তেঁতুলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী জানান, এক কিশোর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় নিহতের লাশ হস্তান্তর করার দাবি পরিবারের। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
Leave a comment