অর্থ পাচারকারীদের শনাক্ত করা খুব কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।তিনি বলেন, পুরো রাষ্ট্র অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্সে আছে। রাষ্ট্রের একটি সংস্থা হিসেবে আমরা উল্টো দিকে হাঁটবো না, স্রোতের বিপরীতে যাব না। আমরা রাষ্ট্রকে সহায়তা দিচ্ছি, এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, “পাচারকারীরা হচ্ছে শয়তানের মত। শয়তান শিরা-উপশিরায় যায়, তাকে দেখা যায় না। শয়তানের কর্মকাণ্ডে দুর্ভোগ মানুষ ভোগ করে। পাচারকারীদের জন্য আমরা দুর্ভোগ ভোগ করছি। পাচারকারীকে যদি আমার কোনো না কোনোভাবে ধরতে পারি, ছাড় দেব না।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেগুলো অনুসন্ধান চলছে সেগুলো আমার কাছে আজ পর্যন্ত আসেনি। যেগুলো চার্জশিট হওয়ার সেগুলো অনেক আগে হয়ে গেছে।”
দুদকের পক্ষ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আজিজী বলেন, কেন যোগাযোগ করা হবে, আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ কীভাবে করবো, তার নির্ধারিত ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার তো ঠিকানা আছে। ইতোমধ্যে সেখানে নোটিশ গেছে। কেউ রিসিভ করেছে কিনা, এটা জানি না। দুদক বিচার প্রক্রিয়া আদালতে দিয়ে দেবে। আদালত বিচার করবে।
অর্থপাচার রোধে দুদকের টাস্কফোর্স এর কার্যাবলী সম্পর্কে তিনি বলেন, নিবিড়ভাবে যোগাযোগ চলছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। দুদকের একার পক্ষে অর্থ ফেরত আনা সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।
অনেক মামলা আদালতে চলে গেছে। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারবো না। আর পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে যত ধরনের আইনি প্রক্রিয়া আছে, সবগুলোই আমরা গ্রহণ করব। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে দুদক কমিশনার মন্তব্য প্রকাশ করেন।
দুদক কতটা কঠোর থাকবে, এ প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের মামলা, ওয়ান ইলেভেনের মামলায় যারা বিচারাধীন, তাদের একটি মামলাও উঠবে না। ট্রায়াল চলছে। আদালত যদি মনে করেন তাদের বিরুদ্ধে চার্জ প্রমাণিত হয়নি, সেটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কোনো গন্ধ যদি পাই, তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আগে আমরা ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনে যাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। দুদকের ক্যামেরা, আমি-আমরা যতদূর সম্ভব বিস্তার করেছি। কর্মকর্তাদের আমরা রিসাফল করছি। মফস্বলে যারা চৌকস কর্মকর্তা আছেন, তাদের হেডকোয়ার্টারে আনছি। হেডকোয়ার্টারে যারা ঝিমুচ্ছেন, তাদের মফস্বলে পাঠাচ্ছি। যাদের কাজে শিথিলতা দেখছি, তাদের মফস্বলে পাঠানো হচ্ছে।
Leave a comment