সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার যুক্তরাজ্যের এমপি ও তার ভাগ্নি টিউলিপ রিজওয়ান সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে আসামি হিসেবে বক্তব্য দিতে ১৪ মে সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৭ মে পাঠানো তলবি নোটিশটি টিউলিপ সিদ্দিকের ধানমন্ডি ও গুলশান-২ এলাকার দুটি ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র। একই মামলায় রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ খসরুজ্জামান ও সর্দার মোশারফ হোসেনকেও একই তারিখে হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ১৫ এপ্রিল ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, গুলশানে অবস্থিত একটি ১ বিঘা ১৯ কাঠা ১৩ ছটাক আয়তনের সরকারি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তর করে সেখানে ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। কোম্পানিটি প্লটের বৈধ লিজ হোল্ডার না হওয়া সত্ত্বেও রাজউকের সংশ্লিষ্ট আইন উপদেষ্টারা তাদের পক্ষে কাজ করার অনুমোদন দেন।
এজাহারে বলা হয়, ইজারার শর্ত অনুযায়ী প্লটটি বিক্রি বা ভাগ করা নিষিদ্ধ থাকলেও আমমোক্তারনামার মাধ্যমে তা ভাগ করে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় রাজউক কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ইস্টার্ন হাউজিংকে সুবিধা দেন এবং টিউলিপ সিদ্দিক বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদক বলেছে, এসব কর্মকাণ্ডে টিউলিপ সিদ্দিক সরাসরি জড়িত থেকে ‘অবৈধ পারিতোষিক’ গ্রহণ করেছেন, যা দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ লোপাটের অভিযোগে ৮ মে দুদকে হাজিরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চলমান এই তদন্ত ও তলবের প্রেক্ষাপটে সাবেক ক্ষমতাসীন পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের সক্রিয়তা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a comment