আসন্ন বলিউড ছবি ‘জলি এলএলবি ৩’ মুক্তির আগেই বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সিনেমাটির প্রধান অভিনেতা অক্ষয় কুমার, সহ-অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি এবং পরিচালক সুভাষ কাপুরকে সমন জারি করেছে পুনের একটি সিভিল কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় তাদের ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে অভিযোগের জবাব দিতে হবে।
এই মামলার আবেদন করেছেন আইনজীবী ওয়াজেদ রহিম খান। তার অভিযোগ, ছবিতে বিচার ব্যবস্থাকে উপহাস করা হয়েছে এবং আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এমন সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে একটি দৃশ্যে বিচারকদের ‘মা’ বলে উল্লেখ করার বিষয়টি তিনি আদালতের প্রতি গুরুতর অবমাননা বলে দাবি করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে রহিম খান বলেন, “আইনজীবী ও বিচারকদের সম্মান দেখানো উচিত। সিনেমার এমন উপস্থাপন জনসাধারণের দৃষ্টিতে বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।”
টিজার থেকে বিতর্কের সূত্রপাত
২০২৪ সালে জলি এলএলবি ৩-এর টিজার প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। টিজারে দেখা যায়, অক্ষয় কুমার ও আরশাদ ওয়ার্সি প্রতিদ্বন্দ্বী আইনজীবীর চরিত্রে মুখোমুখি হয়েছেন। দর্শকদের কাছে এটি যেমন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে, তেমনি আইনি মহলের কিছু অংশ সমালোচনা করেছে। শেষ পর্যন্ত সেই সমালোচনার ভিত্তিতেই রহিম খানের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়।
ফ্র্যাঞ্চাইজির সাফল্য
জলি এলএলবি সিরিজের আগের দুই ছবি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল।
• ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
• ২০১৭ সালের জলি এলএলবি ২ বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক ছুঁয়ে যায়।
এবার তৃতীয় কিস্তিতে প্রথমবার একসঙ্গে ফিরছেন অক্ষয় ও আরশাদ, যা ভক্তদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
মুক্তি পরিকল্পনা
আইনি জটিলতা সত্ত্বেও জলি এলএলবি ৩ বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি হিসেবে । ছবিটি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। প্রযোজনায় রয়েছে স্টার স্টুডিওস, পরিচালনায় সুভাষ কাপুর।
বিতর্ক না কি প্রচারণা?
শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার কারণে ছবির প্রচারণা সাময়িকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও, বিতর্ক নিজেই ছবির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে পারে। বলিউডে পূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে আইনি জটিলতা শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক সাফল্যের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
সবাই এখন অপেক্ষা করছে অক্টোবরের শুনানির জন্য। আদালতের নির্দেশ অনুসারে অভিযুক্তরা হাজির হলে ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ হবে। প্রয়োজনে ছবির কিছু দৃশ্য পরিবর্তনের নির্দেশও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a comment